অ্যান্টিবায়োটিক বিংশ শতাব্দীর চিকিৎসা বিজ্ঞানের এক অন্যন্যা অগ্রগতি। যা ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণ থেকে বিশ্বব্যাপী লক্ষ লক্ষ মানুষের জীবন বাঁচাচ্ছে। কিন্তু অ্যান্টিবায়োটিক অনিয়ন্ত্রিত এবং আমাদের বিচার-বিবেচনাহীন ব্যবহারের কারণে ব্যাকটেরিয়া অ্যান্টিবায়োটিকের বিরুদ্ধে প্রতিরোধী বা অ্যান্টিবায়োটিক রেসিস্ট্যান্স হয়ে ওঠেছে। যা বিশ্বব্যাপী স্বাস্থ্যখাতের জন্য বড় হুমকি।
অ্যান্টিবায়োটিক রেসিস্ট্যান্স হল এমন একটি অবস্থা যেখানে ব্যাকটেরিয়া অ্যান্টিবায়োটিকের বিরুদ্ধে প্রতিরোধী হয়ে ওঠে। এটি তখন ঘটে যখন ব্যাকটেরিয়া অ্যান্টিবায়োটিকের সংস্পর্শে আসে এবং অ্যান্টিবায়োটিকের বিরুদ্ধে প্রতিরোধী হয়ে ওঠার জন্য পরিবর্তিত হয়।
অ্যান্টিবায়োটিক রেসিস্ট্যান্সের অনেকগুলি কারণ রয়েছে, যার মধ্যে রয়েছে:
অ্যান্টিবায়োটিক হল এমন ওষুধ যা ব্যাকটেরিয়ার বিরুদ্ধে লড়াই করে। তবে এগুলি সঠিকভাবে ব্যবহার করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। যদি অ্যান্টিবায়োটিক সঠিকভাবে ব্যবহার না করা হয়, তাহলে তারা ব্যাকটেরিয়াকে প্রতিরোধী করে তুলতে পারে। আর ব্যাকটেরিয়া অ্যান্টিবায়োটিক প্রতিরোধী হলে, অ্যান্টিবায়োটিকগুলি তাদের বিরুদ্ধে কাজ করবে না।
অ্যান্টিবায়োটিক প্রতিরোধের একটি সাধারণ কারণ হল অ্যান্টিবায়োটিকের পুরো কোর্স সম্পূর্ণ না করা। যদি আপনি অ্যান্টিবায়োটিকের পুরো কোর্স সম্পূর্ণ করেন, তাহলে এটি নিশ্চিত ভাবে সমস্ত ব্যাকটেরিয়া মারা যায়। যদি আপনি অ্যান্টিবায়োটিকের পুরো কোর্স সম্পূর্ণ না করেন, তাহলে কিছু ব্যাকটেরিয়া জীবিত থাকতে পারে এবং প্রতিরোধী হয়ে উঠতে পারে।
আরেকটি সাধারণ কারণ হল অ্যান্টিবায়োটিকের অপ্রয়োজনীয়ভাবে ব্যবহার করা। অ্যান্টিবায়োটিক শুধুমাত্র ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণের জন্য ব্যবহার করা উচিত। যদি আপনি ভাইরাস দ্বারা সংক্রমণ হন, তাহলে অ্যান্টিবায়োটিক এক্ষেত্রে কার্যকর হবে না।
অ্যান্টিবায়োটিক রেসিস্টেন্সের প্রতিরোধে জনগণকে অ্যান্টিবায়োটিকের যথাযথ ব্যবহার জানাতে হবে। এক্ষেত্রে স্কুল, কলেজ এবং শিক্ষাকেন্দ্র গুলোতে সেমিনার বা ক্যাম্পেইন করা যেতে পারে। এখনই এর সচেতনতা তৈরি করতে না পারলে ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে বড় কঠিন বিপর্যয়ের সম্মুখীন হতে হবে।